সরকারি মুস্তাফাবিয়া আলিয়া মাদ্রাসা, বগুড়া-তে আজ বৃহস্পতিবার মহাসমারোহে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। পাঁচ দিনব্যাপী বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার সমাপনী এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সরকারি মুস্তাফাবিয়া আলিয়া মাদ্রাসা, বগুড়া-এর অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. আহমাদুল্লাহ স্যার। মাদ্রাসার উপাধ্যক্ষ আবু নাঈম মো. শহীদুল ইসলাম স্যার বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

অধ্যক্ষ মহোদয়ের বাণী

প্রফেসর ড. আহমাদুল্লাহ (২০৯৮)

অধ্যক্ষ

অত্র (GOVT. MUSTAFABIA ALIA MADRASAH, BOGURA) ডাইনামিক ওয়েবসাইটি ডিজিটালাইজড শিক্ষা ব্যবস্থার সাথে একটি অতিব প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ। এর মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্ট ছাত্র-ছাত্রী অভিভাবক এবং আগ্রহী ব্যক্তিবর্গ খুবই সহজেই বিভিন্ন পরীক্ষার তারিখ ও ফলাফল, জরুরী নোটিশ এবং আনুষাঙ্গিক অনেক বিষয় সম্পর্কে অবগত হতে পারবেন। ওয়েবসাইটটির যুগোপযোগীকরণ এবং মান উন্নয়ন একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। সংশ্লিষ্ট সকলের সার্বিক এবং প্রয়োজনীয় তথ্য প্রদানের মাধ্যমে ওয়েবসাইটটি সমৃদ্ধি লাভ করবে এবং সকলেই উপকৃত হবে। ওয়েবসাইটটি যথাযথ ব্যবহার ছাত্র-ছাত্রী ও অভিভাবকদের সাথে বিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দসহ সংশ্লিষ্ট সকলের সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় করবে বলে আমি মনে করি। এ ব্যাপারে শিক্ষকমন্ডলী, কর্মচারীবৃন্দ ও ছাত্র-ছাত্রীদের যথাযথ সহযোগীতা অব্যাহত থাকবে বলে আমি প্রত্যাশা করি। তথ্য প্রযুক্তির যুগে আমাদের ছেলে মেয়েরা বিশ্বায়নের চ্যালেঞ্জ গ্রহন সহ সুখী-সমৃদ্ধ দারিদ্রমুক্ত আত্মনির্ভরশীল ও বিশ্ব জ্ঞান ভান্ডার হতে জ্ঞান আহরণে কার্যকর ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে বলে আমি বিশ্বাস করি। 


প্রতিষ্ঠানের ইতিহাস

 বাংলাদেশে পাশ্চাত্য যখন মুসলমানদের মূলে কুঠারাঘাত করে যাবতীয় অপসংস্কৃতির বিস্তার ঘটায় ঠিক তখনি বিংশ শতাব্দির শুরুর দিকে মহাস্থান হতে সাত মাইল দক্ষিণে সুত্রাপুর মহল্লার সাতানি মসজিদে বগুড়া সরকারি আলিয়া মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা লাভ করে।

ফুরফুরা শরীফের পীর মাওলানা আবু বকর সিদ্দিক (রহ:) জমিদার খান বাহাদুর হাফিজার রহমান চৌধুরীকে একটি দীনি প্রতিষ্ঠান চালু করার অনুরোধ করলে তিনি গণ্যমান্য ব্যক্তির সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে ১জুলাই ১৯২৫খ্রি. “মুস্তাফাবিয়া” মাদরাসার গোড়াপত্তন করেন। আর শিক্ষাবোর্ড কর্তৃক স্বীকৃতি প্রাপ্ত হয় ১৯৩৭ খ্রি.। আলহাজ্ব মাওলানা মুস্তাফা আল মাদানী (রহ:) এর নামানুসারে হযরত আবু বকর সিদ্দিক (রহ:) এর নামকরণ করেন মুস্তাফাবিয়া।

১৯৪৯ খ্রি. অত্র মাদরাসা নজিবুল্লাহ (রহ:) সাহেব অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত হন। হাদিস বিভাগ চালু হলে মাদ্রাসার নাম পরিবর্তন করে ‘মুস্তাফাবিয়া টাইটেল’ মাদ্রাসা এবং ১৯৬৫ সালে তাফসীর বিভাগ চালু করা হলে মাদরাসাটির নাম পরিবর্তন করে ‘মুস্তাফাবিয়া ডাবল টাইটেল’ মাদরাসা নামকরণ করা হয়।

১৯৮৬ সালে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি আলহাজ্ব হুসাইন মোহাম্মদ এরশাদ বগুড়া আলতাফুন্নেছা খেলার মাঠে মাদরাসাটিকে সরকারী ঘোষণা করেন। তখন শেষবারের মতো মাদরাসাটির নামকরণ হয় সরকারী মুস্তাফাবিয়া আলিয়া মাদরাসা।

আঠারো জন ব্যক্তি ঊনিশ টাকা দান করে মাদরাসার সূচনা ঘটে। ১৯৩৮ সালে কলকাতা মাদরাসা বোর্ডের অধীনে প্রথম মুস্তাফাবিয়ার ছাত্রগণ পরীক্ষায় অংশ নেয়। পরীক্ষার ফলাফল ভালো হওয়ায় এবং ছাত্র বৃদ্ধি পাওয়ায় ১৯৪১ খ্রি: নামাজগড় গোরস্থানের পাশে ৪.২৩ একর জমির উপর মাদ্রাসা স্থানান্তর করা হয়।

এ মাদ্রাসার জন্য দান করে নিশিন্দারা, সুলতানগঞ্জ পাড়া, বৃন্দাবন পাড়া, কাটনার পাড়ার ২২ জন ব্যক্তি। পরবর্তীতে পর্যায়ক্রমে মাদ্রাসার চার পাশে বিল্ডিং তৈরি করা হয়। ১টি মসজিদ তৈরি এবং ১টি পুকুর খনন করা হয়।

জাতীয় সংসদ ভবন

জাতীয় শহীদ মিনার

Follow us on Facebook

School Event

Days
Hours
Minutes
Seconds

কুইজ প্রতিযোগিতা

আমাদের সম্পর্কে মতামত

Abdur Rahman
Abdur RahmanAbdur Rahaman Khan
Read More
This School is very good .My Clildren is studying here since 2017.I am so satisfied with their services.